চট্টগ্রাম, ৮ জুলাই : জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে, কিন্তু বাড়েনি নিম্নবিত্তের আয়। প্রতিদিনকার রান্নাঘরের সব উপকরণের দাম বেড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। চট্টগ্রামের বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রায় সব পণ্যের দাম ঊর্দ্ধমুখী। অতি বৃষ্টির অজুহাতে আবারও বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। কয়েক দিনের ব্যবধানে ৮০ থেকে ১০০ টাকা বেড়ে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা দরে। এছাড়া বেড়েছে অন্য সবজির দামও। তবে, সহনীয় পর্যায়ে আছে বয়লার মুরগির দাম, কেজিতে ২০ টাকা কমে ১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সবজিতে সর্বনিম্ন দামে পটল ৪০ টাকা।
শনিবার (৬ জুলাই) নগরীর ২নং গেইটের কর্ণফুলী কমপ্লেক্স, বহদ্দারহাট, চকবাজার, কাজীর দেউড়িসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে কাঁচাবাজারগুলোতে কাঁকরোল ও করলা ৯০-১০০, চিচিঙ্গা ৬০-৭০, ঢেঁড়স ৫০-৬০, আলু ৬০, মিষ্টি কুমড়া ৫০, বরবটি ১৩০-১৪০, টমেটো ১৪০-১৫০, পেঁপে ৫০-৬০, গাজর ১৪০ এবং শসা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি ৩০০ এবং দেশি মুরগি ৪৮০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ- মাংসের দাম। গরুর মাংস ৮৫০ থেকে ১ হাজার টাকা, ছাগলের মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আকারভেদে মাছ রুই ২৬০-৩৬০, কাতল ৩২০-৩৬০, মৃগেল ২০০-২৫০, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া ১৮০-২২০, স্যালমন ফিশ ৪৮০, বাগদা চিংড়ি ৮০০, রূপচাঁদা জাত ও আকারভেদে ৫৫০ থেকে ৮০০, পোয়া মাছ ২৫০, পাবদা ৩৫০-৪০০, সুরমা ৩৫০-৫৫০, টেংরা ৩৭০ এবং নারকেলি মাছ ২৫০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। মুদিপণ্যের মধ্যে খোলা চিনি ১৩০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫ টাকা, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৪৭ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা, ছোট মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৬০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৮০ টাকা, খেসারি ডাল ১২০ টাকা, বুটের ডাল ১১৫ টাকা। চাল ও আটা- ময়দার দাম অপরিবর্তিত। নগরে বিভিন্ন বাজারে জাতভেদে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। বাজার করতে আসা সাধারণ মানুষ বলেন, প্রতি সপ্তাহে কোন না কোন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবেই। এটি যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। একদিন বৃষ্টি কারণে তো অন্যদিন রোদের কারণে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। দোকানীদের হাস্যকর অজুহাত আর বাজার ব্যাবস্থপনায় দায়িত্বরত সরকারী কর্মকর্তাদের ব্যর্থতার কারণেই নিত্যপণ্যের ঊর্দ্ধমুখীতা। সিন্ডিকেট ভাঙতে হলে সরকারের এসব বিষয়ে কঠোর মনিটরিং করা উচিৎ। না হয় এভাবেই লুটেরার দল লুটেপুটে খাবে, বদনাম হবে সরকারের।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan